Composed Upon Westminster Bridge by William Wordsworth Class 11 English || WBCHSE

Composed Upon Westminster Bridge

William Wordsworth

কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ তাঁর বোন ডরোথি ওয়ার্ডসওয়ার্থের সাথে 31 জুলাই 1802 সালের খুব ভোরে লন্ডন শহরের পাশদিয়ে বয়েচলা টেমস নদীর বিখ্যাত ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের উপর দিয়ে জুড়িগাড়ী (ঘোড়ার গাড়ী) করে যাচ্ছিছিলেন। হয়ত তাঁরা ফ্রান্স ভ্রমণের জন্য লন্ডনের পূর্বে অবস্থিত ডোভার থেকে জাহাজ ধরবেন। এই সময়টা ছিল ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের প্রথম দিক। একদিকে যেমন কল-কারখানা গড়ে উঠছে, তেমনি কাজের সন্ধানে শহর গুলিতে দলে দলে মানুষ ভিড় করছে। যাইহোক, ওয়ার্ডসওয়ার্থ যখন ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের উপর দিয়ে জুড়িগাড়ী করে যাচ্ছিছিলেন, তখন সূর্যের প্রথম কিরণ সবে মাত্র পৃথিবীতে এসে পড়েছে। প্রথম আলোয় স্নাত লণ্ডন শহরকে দেখে প্রকৃতি প্রেমী কবি না দাঁড়িয়ে আর পারলেননা। পরে 1802 সালের 3 সেপ্টেম্বর তাঁর সেই অভিজ্ঞতা তিনি চতুষ্পদী কবিতা হিসাবে লেখেন যার নাম “Composed upon Westminster Bridge.”

Critical Analysis of The Poem



Critical Analysis of The Poem



Summery of the Poem in Bengali ( সারাংশ)

এটি একটি চৌদ্দ লাইনের কবিতা, যার মধ্যে প্রথম আটটি লাইনকে বলে ‘OCTAVE’, এর দ্বারা কোন ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয় এবং শেষ ছয়টি লাইনকে বলা হয় ‘SESTET’ যার মধ্য দিয়ে উপসংহার টানা হয়। OCTAVE এবং SESTET এর মাঝে চিন্তার পরিবর্তনকে ‘VOLTA’ বা ‘TURN’ বলে। কবিতাটি একটি চমকপ্রদ বক্তব্য দিয়ে শুরু হয়েছে। পৃথিবীর আর কিছুই নেই দেখানোর মতো যা আমি দেখলাম এই ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের উপর থেকে প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্যের মাঝে ভোরের আলোয় চকচক করা লন্ডন শহরকে। একমাত্র নির্বোধ মানুষই এই দৃশ্যকে উপেক্ষা করে এড়িয়ে যেতে পারে। সকালের সৌন্দর্য যেন লন্ডন শহর বসনের মতো পরিধান করে আছে। সেতু থেকে দৃশ্যমান জাহজঘাটা, সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের গম্বুজ এবং লন্ডনের টাওয়ার প্রভৃতি সকালের আলোতে স্বমহিমায় তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। নিচে টেমস নদী বয়ে চলেছে। ভাগ্যক্রমে, দৃশ্যটি অস্পষ্ট করার জন্য আজ কোনও “কুয়াশা” নেই। তিনি ইশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন যে এখনো প্রাত্যহিক ব্যস্ততার কোলাহলে শহরটি মেতে ওঠেনি বরং দূরের বাড়ি গুলির মতো, বিশাল এই শহরের প্রাণকেন্দ্রটি এখনো ঘুমিয়ে আছে। 

Short Question Answer


1) Who wrote the poem upon Westminster Bridge?

William Wordsworth wrote the poem, ‘Upon Westminster Bridge’.

2) What kind of poem is upon Westminster Bridge?

The poem is a sonnet.( Petrarchan)

3) What is described in the poem upon Westminster Bridge?

The poet describes the city of London at sunrise.

4) What is the rhyme scheme of the poem upon Westminster Bridge?

The rhyme scheme of the poem is abba || abba || cdcdcd.

5) Where does the poet see the city of London?

The poet sees the city of London from the Westminster Bridge.

6) When the poet did noticed the city?

The poet noticed the London city in the early morning.

7) Where is the Westminster Bridge situated?

The Westminster Bridge is situated over the river Thames in London

8) What, according to Wordsworth is the fairest sight on earth?

The poet thinks that the city of London in the early morning is the fairest sight on earth.

9) “Dull would he be of soul” - who would be dull of soul?

The dull of soul refers to those insensible persons who are not moved by the beautiful morning of London.

10) What is the garment of the city of London?


The city of London wears the beauty of early morning.

11) Why is the city of London silent in the early morning?

In the early morning the city of London is silent because the Hustle and bustle is not present.

12) Which things glitter in the smokeless air?

The ships, towers, domes, theaters and Churches glitter and Bright in the smokeless air. 




Share:

Brotherhood: Homage to Claudius Ptolemy Class 11 English || WBCHSE

 Brotherhood: Homage to Claudius Ptolemy

Octavio Paz (1914 - 1998)

Octavio Paz was a powerful writer renowned for his modern poem and writings in Twentieth Century. He paid respect to the Great scholar Claudius Ptolemy, in his Spanish poem “HERMANDAD” which further translated into English by Eliot Weinberger few years later as the poem “BROTHERHOOD”. Ptolemy was the early person who conceives the doctrine of Existentialism that queries the Human presence and its significance in respect of celestial bodies. According to the poet, human life is very short. After death, we don’t know how long the darkness will continue. This is a pessimistic approach. But the poet never gives up his hope. He looks upward and observes the terrestrial living and non-living materials and their inter connection, systems and finally conclude that there is a big force which operates the whole universe properly. This Bigger force may be God who manages everything by law without any malfunction. Now, what is the role of the poet as a human being? Is he just spent a momentary time on this planet? Will he lose himself in the endless darkness forever? Or, He does some creative work that people will remember him after his life. In this way the optimist poet shows us how a mortal life becomes immortal.

Analysis of The Poem : Brotherhood



The Poem : Brotherhood



Summery of the Poem in Bengali ( সারাংশ)

বিংশ শতাব্দীর লেখক অষ্টাভিও পাজ তাঁর আধুনিক কবিতা ও লেখালেখির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। অষ্টাভিও পাজ বিখ্যাত পন্ডিত ক্লাউডিয়াস টলেমীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান তাঁর স্প্যানিশ কবিতা “হারমান্ড” এর মাধ্যমে যা আরও কয়েক বছর পরে এলিয়ট ওয়েইনবার্গার ইংরেজী অনুবাদ করেছিলেন "ব্রাদারহুড" কবিতা হিসাবে। টলেমি হলেন প্রথমদিকের ব্যক্তি যিনি অস্তিত্ববাদবাদের মতবাদটি অনুধাবন করেন যা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রেক্ষিতে মানুষের উপস্থিতির তাৎপর্য অনুসন্ধান করে। কবির মতে মানুষের জীবন অতিসংক্ষিপ্ত। মৃত্যুর পরে, আমরা কতক্ষণ চির অন্ধকার থাকব। এটি একটি নিরাশাবাদী মতাদর্শ। তবে কবি কখনই তার আশা ছাড়েন নি। তিনি ঊর্দ্ধমুখে তাকান এবং পার্থিব সজীব এবং নির্জীব বস্তু এবং তাদের মধ্যকার আন্তঃসংযোগ, তাদের কার্য প্রনালী পর্যবেক্ষণ করেন এবং শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে একটি বৃহৎ শক্তি রয়েছে যা পুরো বিশ্বজগতকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে। এই বৃহৎ শক্তি হতে পারে সর্বশক্তিমান ভগবান, যিনি পূর্ব নির্ধারিত নিয়মের দ্বারা কোনও ত্রুটি ছাড়াই সবকিছু সঠিকভাবে পরিচালনা করেন। যাইহোক, মানুষ হিসাবে কবির ভূমিকা কী? তিনি কি এই গ্রহে মুহূর্তের জন্য সময় কাটিয়ে চলে যাবেন? তিনি কি চিরতরে অনন্ত অন্ধকারে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন ? অথবা, তিনি এমন কিছু সৃজনশীল কাজ করবেন, যার জন্য লোকে তাকে তাঁর মৃত্যুর পরেও স্মরণ করবে। এইভাবে আশাবাদী কবি আমাদের দেখায় যে কীভাবে একটি মরণশীল জীবন অমর হয়ে যায়।

Short Question Answer 






Share:

Drainage Pattern Class 12 Geography || জলনির্গম প্রণালী বা নদী বিন্যাস দ্বাদশ শ্রেণী ভূগোল || WBCHSE

জলনির্গম প্রণালী  বা নদী বিন্যাস কাকে বলে ?  বিভিন্ন প্রকার জলনির্গম প্রণালী বা নদী বিন্যাসের  পরিচয় দাও ।


কোন নদী অববাহিকা  মূল নদীর সাথে তার বিভিন্ন উপনদী, শাখা নদী  প্রশাখা নদী ইত্যাদির সমন্বয়ে যে বিশেষ ধরনের নকশা বা জ্যামিতিক রুপরেখা গড়ে তোলে তাকে জলনির্গম প্রণালী বা নদী বিন্যাস বলে।  কতগুলি বিশেষ প্রাকৃতিক কারণ এর উপর ভিত্তি করে এই জলনির্গম প্রণালী গড়ে ওঠে,  যথা - 


১)  শিলাস্তরের গঠন ও প্রকৃতি

২)  শিলার কাঠিন্যের তারতম্য

৩) শিলাস্তরে ফাটল  ও  চ্যুতির  উপস্থিতি

৪)  ভূমির প্রারম্ভিক ঢাল

৫)  অববাহিকা অঞ্চলের জলবায়ু

৬) ভূগাঠনিক শক্তি

৭) অববাহিকার সাম্প্রতিক ভূতাত্ত্বিক ও ভূগাঠনিক ইতিহাস


প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার নদী বিন্যাস বা জলনির্গম প্রণালী সৃষ্টি হয়েছে।  এই সকল প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে গড়ে ওঠা নদী বিন্যাসের মাধ্যমে ভূমিরূপ এর সাথে আভ্যন্তরীণ গঠনের সম্পর্ক এবং শিলা লক্ষণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। 


আকৃতি ও প্রকৃতির তারতম্যে বিশেষত  প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে নদী বিন্যাস বা জল নির্গমণ প্রণালীকে প্রধান 12 টি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা - 



1) বৃক্ষরূপী জলনির্গমন


গ্রিক শব্দ ডেনড্রন অর্থ বৃক্ষ।  যখন কোন অববাহিকার প্রধান নদী,  তার উপনদী ও শাখানদী সমন্বয় শাখা প্রশাখা যুক্ত বৃক্ষের  মতো নকশা ফুটে ওঠে, তখন তাকে বৃক্ষরূপী  নদী বিন্যাস বলে। ভূপৃষ্ঠের যেসব অঞ্চল একই ধরনের শিলায় গঠিত,  অর্থাৎ শিলার  ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা  একই রকম,  সেই সকল অঞ্চলে বৃক্ষরূপী  জল নির্গমন গড়ে ওঠে।  দক্ষিণ ভারতের গোদাবরী ও তার উপনদী পেনগঙ্গা ও মঞ্জিরার সমন্বয়ে এইরূপ একটি নদী বিন্যাস সৃষ্টি করেছে।




2) পিনেট জল নির্গমন


বাস্তবে এটি বৃক্ষরূপী  নদী বিন্যাসের এক বিশেষ  রূপ।  এক্ষেত্রে জল নির্গমন প্রণালীর প্রধান নদীর সাথে অসংখ্য উপনদী কিছুটা সমান্তরালে প্রবাহিত হয় সূক্ষ্মকোণে  পরস্পরের সাথে মিলিত হয়।


 


3) জাফরিরূপী জল নির্গমন


এই  রূপ জল নির্গমন প্রণালীতে উপনদী গুলি সমান্তরালভাবে শিলাস্তরের  আয়াম () বরাবর প্রবাহিত হয়ে  প্রধান নদীর সাথে প্রায় সমকোণে মিলিত হয়।  ভূপৃষ্ঠের যেসব অঞ্চলে  পর্যায়ক্রমে কঠিন ও কোমল শিলা অবস্থান করছে,  সেখানে পরবর্তী নদী গুলি কঠিন শিলা এড়িয়ে দুর্বল শিলার আয়াম বরাবর প্রবাহিত হয় পরিশেষে অনুগামী নদী গুলির সাথে সমকোণে মিলিত হয় এবং এর ফলে পরবর্তী নদী গুলির  দুই  তীর বরাবর কঠিন শিলা স্তর শৈলশিরা রূপে অবস্থান করে। এর ফলে সামগ্রিক যে রূপ বা নকশা গঠিত হয় তা দেখতে হয় অনেকটা জাফরিন মত। বাঘেলখন্ড মালভূমিতে এই প্রকার জাফরি রূপী  জল নির্গমন প্রণালী দেখা যায়।


4) আয়তক্ষেত্ররূপী জল নির্গমন


যখন প্রধান নদী ও তার উপনদী এবং শাখা নদী পরস্পর সমকোণে মিলিত হয় তখন একটি আয়তাকার নকশা ফুটে ওঠে।  তাই একে আয়তক্ষেত্র রূপী জল নির্গমন বলে । মাঝারি ও অল্প বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে  অধিক চ্যুতি  ও ফাটল থাকলে,  চুতি  ও ফাটল বরাবর প্রধান নদী,  উপনদী গুলি পরস্পরের সাথে সমকোণে মিলিত হয়ে  এই রূপ নদী বিন্যাস গঠন করে। মধ্য ভারতের বেতোয়া ও শোন নদী অববাহিকায় এইরূপ নদী বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়।



5) সমান্তরাল নদী বিন্যাস


সাধারণভাবে অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে  ভূভাগের ঢাল যদি তীব্র হয় অথবা ভূ গাঠনিক শক্তির প্রভাবে সৃষ্ট নদী গুলি একে অপরের সাথে সমান্তরালে বা প্রায় সমান্তরালে নির্দিষ্ট ব্যবধান বরাবর প্রবাহিত হয়,  তাকে সমান্তরাল নদী বিন্যাস বলে।  শিবালিক পর্বতের ঢাল বরাবর এই প্রকার নদী বিন্যাস গড়ে উঠেছে।



 6) কেন্দ্রমুখী নদী বিন্যাস


সাধারণভাবে কোন পর্বত বেষ্টিত অববাহিকা,  কোন নিম্ন অববাহিকা অঞ্চল অথবা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ প্রান্তবর্তী উচ্চভূমি থেকে সৃষ্ট নদীগুলি পরস্পর মাঝের  অবনমিত অঞ্চলটিতে মিলিত হয়।  অর্থাৎ বিভিন্ন দিক থেকে আগত নদীগুলি পরস্পর মিলিত হয় বলে একে কেন্দ্রমুখী নদী বিন্যাস বলে।  আফ্রিকার চাঁদ,  নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকায় এইরূপ নদী বিন্যাস দেখা যায়।


 

7) কেন্দ্রবিমুখ নদী বিন্যাস


কোন গম্বুজ পাহাড় আগ্নেয়গিরির শঙ্কু কিংবা বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের শীর্ষ দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলি চক্রের দন্ডের ন্যয় কেন্দ্র বা শীর্ষ থেকে  বহির্মুখে প্রবাহিত হয়। একে কেন্দ্রবিমুখ নদী বিন্যাস বলে।   ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুর অঞ্চলে গ্রানাইট গঠিত পাহাড়ে এই প্রকার কেন্দ্রবিমুখ নদী বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। 



8) পাঁজর আকৃতির নদী বিন্যাস



পাহাড়ি অঞ্চলে মূল নদীটি গভীর উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দুই দিকের খাড়া ঢাল বেয়ে বয়ে আসা  পরবর্তী নদী গুলি  সমকোণে মিলিত হওয়ায় পাঁজরের ন্যয় জ্যামিতিক রূপরেখার সৃষ্টি হয়।  একে বলে পাঁজর আকৃতির নদী বিন্যাস। এইরূপ নদী বিন্যাস দেখতে অনেকটা হেরিং মাছের কাঁটার মতো বলে একে হেরিংবোন নদী বিন্যাসও  বলা হয়।



9) অঙ্গুরীয় জলনির্গমন



কোন গম্বুজাকৃতির পাহাড়ে কঠিন ও কোমল শিলা পরপর অবস্থান করলে বৈষম্যমূলক ক্ষয় কার্যের ফলে কোমল শিলা অধিক ক্ষয় পায় ফলে পর্বত কে বেষ্টন করে কতগুলি ধাপের সৃষ্টি হয়।  কোন শিলায় গঠিত এই ধাপ এর উপর বা ধাপ বরাবর পর্বত কে বেষ্টন করে চক্রাকারে আংটির ন্যয়  প্রবাহ পথে নদী নিচে নেমে আসে, তাই একে অঙ্গুরীয় জলনির্গমন প্রণালি বলে।  রাচি মালভূমিতে নদী বিন্যাস লক্ষ্য করা যায় ।



10) অসংগত নদী বিন্যাস


নদীর উৎস অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে এই রূপ নদী বিন্যাস গঠিত হয়।  যখন উপনদী গুলি প্রধান নদীর বিপরীতে  প্রবাহিত হয়ে  নৌকা  ঠেলার  আকশি বা  বর্শির মতো  সূক্ষ্মকোণী মিলিত হয়,  তখন  এই রূপ নদী বিন্যাস এর সাথে আভ্যন্তরীণ গঠনের কোন  সংগতি থাকেনা ।  তাই একে অসংগত নদী বিন্যাস বলে। সাধারণভাবে নদী গ্রাসের  ফলে অসঙ্গত জলনির্গমন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।  ওড়িশা রাজ্যের গর্জন হাট পাহাড়ের খান্ডিবাহালে  এই রূপ নদী বিন্যাস দেখা যায়।  



11) অনিয়মিত নদী বিন্যাস


প্লাবনভূমি অধ্যুষিত অঞ্চলে কোন কোন ক্ষেত্রে এই রূপ নদী বিন্যাস দেখা যায়।  মূলত এক্ষেত্রে প্রবাহিত নদীগুলি কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে  প্লাবনভূমিতে হারিয়ে যায় এবং এদের শাখা নদী প্রায় থাকে না বললেই চলে।  পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে  এই প্রকার নদী বিন্যাস লক্ষ্য করা যায় । 



12) বিনুনিরূপী  নদী বিন্যাস


নদীর মোহনা অঞ্চলে বা কোন নদী পার্বত্য ভূমি ত্যাগ করে হঠাৎ সমভূমিতে নেমে  এলে ভূমির ঢাল কমে যাওয়ায় নদীটি বহু শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট হয়ে পড়ে।  এই শাখা নদী গুলি কখনো বিচ্ছিন্নভাবে আবার কখনো একত্রিত হয়ে এগিয়ে চলে। এর ফলে  চুলের বিনুনির ন্যয়  নকশা ফুটে ওঠে।  তাই একে বিনুনি আকৃতির নদী বিন্যাস বলে।  গঙ্গা নদীর মোহনা বিশেষত সুন্দরবন অঞ্চলে এই রূপ নদী বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। 



Share:

Fluvial landforms in Arid region Class 12 || মরু অঞ্চলে জলধারার ক্রিয়ায় গঠিত বিশেষ ভূমিরূপ দশম শ্রেণী || WBCHSE

মরু অঞ্চলে জলধারার ক্রিয়ায় গঠিত বিশেষ ভূমিরূপ গুলির পরিচয় দাও?

সাধারণভাবে মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অতিসামান্য ঘটে এবং কোন কোন মরু প্রান্তরে দীর্ঘ পাঁচ থেকে সাত বছরেও একফোঁটা বৃষ্টিপাত হয় না।  কিন্তু কখনো কখনো ক্ষণস্থায়ী যে প্রবল বর্ষণ ঘটে,  তার প্রভাবে মরু প্রান্তরে অবস্থিত পর্বত গুলি থেকে অসংখ্য  বেগবতী  জলধারা সৃষ্টি হয়।  এদের স্থানীয় ভাষায় ওয়াদি  বলে। এই জলধারা গুলির ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজে শুষ্ক অঞ্চলে বেশকিছু প্রকারের ভূমিরূপের  আবির্ভাব ঘটে। 


১) পেডিমেন্ট


পেডি শব্দের অর্থ  পাদদেশ এবং মেন্ট  শব্দের অর্থ  পাহাড়।  অর্থাৎ মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে বগবতী জলধারা বা ওয়াদির হয় কাজে মৃদু  ঢালু  শিলায় গঠিত  যে ভূমি ভাগের সৃষ্টি হয়,  ভূবিজ্ঞানী গিলবার্ট ()  একেই পেডিমেন্ট নামে চিহ্নিত করেছেন।  পেডিমেন্ট এর প্রকৃতি অনেকটা অবতল প্রকৃতির।  এর ওপর দিকের  ভূমিভাগ  প্রায় 7 ডিগ্রি কোণে  হেলে থাকে তবে এর পাদদেশের ঢাল খুবই সামান্য হয় মাত্র 1.5 ডিগ্রি । পেডিমেন্ট এর উৎপত্তি ও আকৃতি গত  পার্থক্য সুস্পষ্ট এবং এর উপর ভিত্তি করে ভূবিজ্ঞানীগণ  পেডিমেন্ট কে তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন।  যথা -



a) আবৃত পেডিমেন্ট


কখনো কখনো মরু অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা পেডিমেন্ট,  নুড়ি পাথরে  আবৃত হয়ে পড়ে,  অর্থাৎ প্রকৃত পেডিমেন্ট টি ঢাকা পড়ে যায়,  তাই একে আবৃত পেডিমেন্ট বলে।


b) একাঙ্কিভূত পেডিমেন্ট


কখনো কখনো পাদদেশে গড়ে ওঠা একাধিক পেডিমেন্ট পরস্পর যুক্ত হয়ে সুবিস্তৃত পাদদেশীয় ভূমি গড়ে তোলে,  তাই একে বলে  পাদদেশীয়  একাঙ্কিভূত পেডিমেন্ট। 



c) ব্যবচ্ছিন্ন পেডিমেন্ট


পাদদেশীয় অঞ্চলে গড়ে ওঠা  পেডিমেন্ট বেগবতী জলধারা বা ওয়াদি দ্বারা  খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়লে তাকেই ব্যবচ্ছিন্ন পেডিমেন্ট বলে।


২)  বাজাদা


পেডিমেন্ট ছাড়িয়ে ওয়াদি বাহিত নুড়ি প্রস্তরখণ্ড  পলি বালি  কাদা  প্রভৃতির সঞ্চয়ে গড়ে ওঠা একাধিক পলল ব্যজনী পরস্পর যুক্ত হয়ে যে সমভূমি গঠন করে তাকেই বাজাদা বলে।


৩) ইনসেলবার্জ


ইনসেলবার্জ একটি জার্মান শব্দ যার অর্থ হল  দ্বীপ শৈল বা দ্বীপের মতো পাহাড় ()।  ভূবিজ্ঞানী প্যাসেজ () মরু অঞ্চলে কঠিন শিলায় গঠিত অবশিষ্ট পাহাড় গুলোকে ইনসেলবার্জ বা ইনসেলবার্গ  নামে চিহ্নিত করেন।  তবে ভূবিজ্ঞানী বনহার্ড ()  পূর্ব আফ্রিকায় এই জাতীয় অবশিষ্ট পাহাড় গুলোকে বর্নহার্ড  পাহাড় নামে  চিহ্নিত করেন। 


মরু অঞ্চলে জলধারার ক্রিয়ায় গঠিত বিশেষ ভূমিরূপ


প্রসঙ্গত ইনসেলবার্জ এর আকৃতি বিশিষ্ট আরো কয়েক প্রকার ভূমিরূপ মরু অঞ্চলে জলধারার কাজে গড়ে ওঠে।  যথা -

৪) টরস


মরু অঞ্চলে কঠিন শিলায় গঠিত প্রতিরোধ করে বামন আকৃতির বা অতি ক্ষুদ্রাকৃতির  যে ঢিবি গড়ে ওঠে তাদের বলে টরস ।



৫) কোপিস বা কোপজেস বা ক্যাসেল  কোপজেস


ভূবিজ্ঞানী গণের মতে ওয়াদি  বাহিত নুড়ি, প্রস্তর খন্ড,  বিপুল পরিমাণে সঞ্চিত হয়ে পাহাড়ের আকার ধারণ করলে, তাদের কোপিস বা কোপজেস বা ক্যাসেল  কোপজেস বলে। 


৬) প্লায়া


মরু অঞ্চলে ক্ষণস্থায়ী  প্রবল বর্ষণে  সৃষ্ট বেগবতী জলধারা বা ওয়াদি  অচিরেই  কর্দম প্রবাহে পর্যবসিত হয়  এবং পেডিমেন্ট ও বাজাদা ছাড়িয়ে নিম্নভূমিতে সঞ্চিত হয়ে যে লবণাক্ত  হ্রদ গড়ে তোলে, তাদের বলে প্লায়া বা সেলিনা।  আফ্রিকা মহাদেশ এই প্রকার লবণাক্ত জলের হ্রদ শর্ট,  মেক্সিকোতে বুলসন, আরব মরুভূমিতে খাবারি ও মামলাহা এবং ভারতবর্ষে রাজস্থানে ধান্দ নামে পরিচিত।


৭) মেসা  ও বিউট


মরু অঞ্চলে সমান্তরাল ভাবে বিন্যস্ত কোমল শিলায় গঠিত খাড়া ঢাল যুক্ত মালভূমি, সমভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে পড়লে তাদের বলে মেসা।  তুলনামূলক ভাবে ক্ষুদ্রায়তন বৈশিষ্ট্যযুক্ত  বা অপেক্ষাকৃত  ছোট সমতল পৃষ্ঠ যুক্ত পাহাড় কে বলে বিউট।  দক্ষিণ আমেরিকার অ্যারিজোনায় এই জাতীয় ভূমিরূপ লক্ষ করা যায়।  



প্রসঙ্গত মরু অঞ্চলে ক্ষণস্থায়ী প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট ওয়াদি অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়।  অসংখ্য নদী খাতের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।  যদিও জল্ধারার কাজে মরু অঞ্চলে উপরিউক্ত ভূমিরূপ গুলির আবির্ভাব ঘটে তথাপি স্মরণ রাখা দরকার জলধারার কাজে গঠিত ভূমিরূপ গুলি পরবর্তীকালে বায়ুর কাজে  আংশিকভাবে পরিবর্তিত হয়।




Share:

Arid cycle of erosion Class 12 Geography || শুষ্কতার ক্ষয়চক্র দ্বাদশ শ্রেণী ভূগোল || WBCHSE

মরু অঞ্চলে শুষ্কতার ক্ষয়চক্রের বিষয়টির প্রথম প্রবক্তা হলেন উইলিয়াম মরিস  ডেভিস।  ডেভিস এর মতে ভূ আলোড়নে  সর্বপ্রথম কতগুলি পর্বত বেষ্টিত অববাহিকার সৃষ্টি হয় যাতে কেন্দ্রমুখী জলনির্গম প্রণালী গড়ে ওঠে।  ক্রমে ক্রমে অববাহিকার পার্শ্ববর্তী  পর্বত গুলি ধীরে ধীরে অববাহিকার  ও জলের কাজে ভয় পেয়ে পশ্চাৎ অপসারণ করে।  এবং অববাহিকার মধ্যে স্থানীয় কতগুলি পৃথক পৃথক নিম্ন দিকে ক্ষয় করার  শেষ সীমা  গড়ে ওঠে।  যৌবন অবস্থায় বিভিন্ন প্রাপ্ত পদার্থ অববাহিকায় সঞ্চিত হতে থাকায়,  অববাহিকা ক্রমশ  উঁচু  হয়ে পরে এবং পার্শ্ববর্তী  পর্বত গুলি ক্রমশ নিচু হতে থাকে।  পরবর্তীকালে নদীগুলির মস্তকের দিকে  ক্ষয়ের ফলে  পর্বত গুলি পরস্পর থেকে ব্যবচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং পার্শ্ববর্তী অববাহিকা কে অববাহিকাকে  গ্রাস করে।  এইভাবে বিভিন্ন অববাহিকার মধ্যে নদীগুলি পরস্পরকে গ্রাস করে কিছুটা একত্রিত হয়।  এখান থেকেই ভূমিরূপের পৌঢ়  অবস্থা প্রাপ্ত হয়।  পরবর্তীকালে নদীগুলি একত্রিত হওয়ার ফলে অববাহিকার মধ্যে পৃথক পৃথক নিম্ন দিকে ক্ষয় করার  পরিবর্তে একটি মাত্র স্থানীয় ক্ষয় করার সীমা  দ্বারা  অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রিত হয়।  এর পরবর্তীকালে পর্বত গুলি ক্ষয় পেয়ে  অবশিষ্ট পাহাড় রূপে দাঁড়িয়ে থাকে।  বার্ধক্য অবস্থায় অঞ্চলটিতে  বায়ুর কাজ প্রাধান্য পায়।  ফলে বায়ু দ্বারা অপসৃত পদার্থ সমূহ বিস্তৃততম অঞ্চল জুড়ে প্রসারিত হয়ে পড়ে। 

ডেভিসের এই ক্ষয়চক্রের ধারণা


ডেভিস তার শুষ্কতার ক্ষয়চক্রের  যে বর্ণনা দিয়েছেন তা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমের মরু অঞ্চলের   ন্যয় পর্বত বেষ্টিত অববাহিকায় প্রযোজ্য হলেও পৃথিবীর যাবতীয় মরু অঞ্চলে পর্বত বেষ্টিত অববাহিকায় প্রযোজ্য নয়। তাই ডেভিসের এই ক্ষয়চক্রের ধারণা সর্বতোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। 


পরবর্তীকালে ডেভিসের অন্যতম ছাত্র এল সি কিং পেডিমেন্ট এর ক্ষয়চক্র নামে অপর একটি স্বতন্ত্র মতবাদ প্রকাশ করেন এবং এটি ডেভিস প্রবর্তিত অপেক্ষা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।  পরবর্তীকালে ডেভিস নিজেও এল সি কিং এর মতবাদ সমর্থন করেছেন।


এল সি কিং এর মতবাদে

এল সি কিং এর মতবাদে  পর্বত গুলির পশ্চাৎ অপসারণ এর তুলনায় পেডিমেন্ট এর বিস্তার এর উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন।  তাঁর মতে পেডিমেন্ট যত বিস্তৃত হবে,  উচ্চভূমির ততই পশ্চাৎ অপসারণ করবে। এইভাবে, পর্বতের  এক পার্শ্বস্থ পেডিমেন্ট পর্বত ভেদ করে অপর পার্শ্বের পেডিমেন্টের সাথে পরস্পর মিলিত হবে। এর ফলে অবশিষ্ট পাহাড় বা ইনসেলবার্জ গড়ে উঠবে।  পৌঢ়  অবস্থায় ভূমিরূপে  পেডিমেন্ট এর প্রাধান্য ঘটবে এবং  ভূমিরূপের বার্ধক্য অবস্থায় পেডিমেন্ট গুলি পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে  বিস্তৃত তম  পেডিপ্লেন  গড়ে তুলবে। এই  পেডিপ্লেন এর  মাঝে ইনসেলবার্জ গুলি বিচ্ছিন্নভাবে দূরে দূরে অবস্থান করবে। 






Share:

সুয়েজ খালপথ ও পানামা খালপথের পার্থক্য

সুয়েজ খালপথ ও পানামা খালপথের পার্থক্য


আন্তর্জাতিক বাণিজ্য  পথ হিসাবে পানামা খালপথ এবং সুয়েজ খালপথ অতি গুরুত্বপূর্ণ।  তবে এই খালপথ দুটির মধ্যে বেশকিছু সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে।  অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিচারে  সুয়েজ খালপথ ও পানামা খালপথের  পার্থক্য  গুলি নিম্নরূপ - 


সুয়েজ খাল পথ

পানামা খাল পথ

১) সুয়েজ খাল পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই খাল পথ চালু হয়। 

১) পানামা খাল পথ পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত এবং বিংশ শতাব্দীতে এই খাল পথ চালু হয়। 

২)   সুয়েজ ক্যানাল  অথরিটি নামে একটি সংস্থার উপর সুয়েজ খাল পথের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ভার দেওয়া আছে। 

২) পানামা খাল পথ পানামা রাষ্ট্রের অন্তর্গত হলেও চুক্তি অনুসারে এই খাল পথ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে। 

৩) সুয়েজ খাল পথের দৈর্ঘ্য 116 কিমি,  প্রস্থ 56 মিটার  এবং গভীরতা প্রায় 10 মিটার। 

৩) পানামা খাল পথের দৈর্ঘ্য 80 কিমি,  প্রস্থ প্রায় 91 থেকে 300 মিটার এবং গভীরতা প্রায় 13 মিটার। 

৪) সুয়েজ খাল অতিক্রম করতে জাহাজ  গুলির প্রায় 12 ঘন্টা সময় লাগে। 

৪) পানামা খাল অতিক্রম করতে জাহাজ গুলির প্রায় 7 ঘন্টা সময় লাগে। 

৫) সুয়েজ খাল সমুদ্র সমতলে  অবস্থিত তাই লকগেট তৈরি করে জলতল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়না। 

৫) পানামা খাল সমুদ্র সমতল থেকে 26 মিটার উঁচুতে অবস্থিত তাই 6  টি লকেট এর সাহায্যে  জলতল নিয়ন্ত্রণ করে  জাহাজ গুলোকে চলাচল করতে হয়। 

৬) সুয়েজ খাল পথের তীরবর্তী অঞ্চল জনবহুল এবং বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক সম্পদে  সমৃদ্ধ তাই এই পথে উভয় তীর বরাবর অসংখ্য বন্দর গড়ে উঠেছে। 

৬) পানামা খাল পথ সংলগ্ন অঞ্চল বিরল জনবসতিপূর্ণ তাই অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি কম বলে খাল পথ মধ্যে বন্দরের সংখ্যা নগণ্য। 

৭) সুয়েজ খাল পথের শুল্ক হার যথেষ্ট বেশি। 

৭) পানামা খাল পথের শুল্ক হার তুলনামূলক অনেক কম। 

৮ ) সুয়েজ খাল দ্বারা পণ্য এবং যাত্রী উভয়ই পর্যাপ্ত হারে চলাচল করে। 

৮ ) পানামা খাল পথে  যাত্রী চলাচল তুলনামূলকভাবে কম। 

৯) খনিজ তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি  থেকে সারা বিশ্বে  বাণিজ্যিক আদান-প্রদান হয় বলে এই খাল পথের অর্থনৈতিক ও সামরিক গুরুত্ব বেশি। 

৯) পানামা খালের সামরিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলনামূলক কম। 

১০) সুয়েজ খাল প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন ঘটিয়েছে।  তাই এই খাল পথ বেশি ব্যবহার করে ইউরোপ ও এশিয়ার দেশ গুলি। 

১০) উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উপকূলের যোগসুত্র প্রতিষ্ঠা করেছে পানামা খাল।  এই পথের ব্যবহার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা বেশি করে থাকে। 

১১) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আদান-প্রদান সুয়েজখালে বেশি ব্যবহৃত হয় ।

১১) আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক আদান প্রদান পানামা খালের দ্বারা বেশি হয়। 



Share:

Importance and Problems Kolkata Port Class 10 Geography || কলকাতা বন্দরের গুরুত্ব ও সমস্যা দশম শ্রেণী ভূগোল || WBBSE

 পূর্ব ভারতের সার্বিক উন্নয়নে কলকাতা বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধর?

বঙ্গোপসাগরের উপকূল থেকে প্রায় 128 কিলোমিটার অভ্যন্তরে এই কলকাতা নদী বন্দরটি অবস্থিত। বন্দরের পশ্চাৎভূমি পশ্চিমবঙ্গ বিহার উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ডউত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশসমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল, ভুটান জুড়ে বিস্তারিত।  এই  পশ্চাৎ ভূমিটি  কৃষি-শিল্প  খনিজ ও বনজ সম্পদে  সমৃদ্ধ এবং ভারতের সর্বাপেক্ষা জনবহুল অঞ্চল গাঙ্গেয় সমভূমি, এবংপূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ, জাতীয় সড়ক ও অন্যান্য সড়কপথেনৌপথে পূর্ব ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সাথে যুক্ত রয়েছে।  এই কলকাতা বন্দরের উপর ভিত্তি করে এই অঞ্চলে পাট, কার্পাস, বয়ন, লৌহ-ইস্পাত, মোটরগাড়্‌ কাগজ, রেল-ইঞ্জিন নির্মাণ, চিনি, রাসায়নিক দ্রব্য, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য প্রভৃতি শিল্পের সমাবেশ ঘটেছে।  আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের চাপাট ও পাটজাত দ্রব্যবিহারের কয়লাআকরিক লোহা ও  অভ্রওড়িশার আকরিক লোহা ও ম্যাঙ্গানিজউত্তরপ্রদেশের চামড়াচিনি  ও তৈলবীজ এই কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।  অন্যদিকে এই বন্দরের মাধ্যমে যে সকল দ্রব্য আমদানী করা হয় তারমধ্যে খাদ্যশস্য, কাগজ, মোটরগাড়ি, রাসায়নিক, খনিজ আকরিক, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

 কাজেই এটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পূর্ণভাবে কলকাতা বন্দরের উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ পূর্ব ভারতের অর্থনীতি কলকাতা বন্দরের অবদান। 

কলকাতা বন্দর

কলকাতা বন্দরের সমস্যা সমাধানে তোমার মতামত ব্যাখ্যা কর ?

 প্রাক স্বাধীনতার পূর্বে কলকাতা ছিল ভারতের শ্রেষ্ঠ বন্দর।  বঙ্গোপসাগর থেকে 128  কিমি উজানে অবস্থিত এই কলকাতা বন্দরটিকে  কেন্দ্র করে পূর্ব ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটে। বিগত এক শতাব্দীকাল পূর্বে এক ভূ-প্রাকৃতিক কারণে গঙ্গার মূল স্রোত পদ্মার গতিপথে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, ভাগীরথী নদীতে দ্রুত হারে পলি জমা শুরু হয়।  এবং একাধিক বালুচর গড়ে ওঠায় কলকাতা বন্দর আজ মুমূর্ষু প্রায়। এই সমস্যা থেকে কলকাতা বন্দরকে পলি মুক্ত করার জন্য সরকারিভাবে যে ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -

১)  ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণ করে সহযোগী ফিডার খালের মাধ্যমে ভাগীরথী তথা হুগলি নদীতে অতিরিক্ত জল সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ।

২)  ড্রেজার এর মাধ্যমে নিয়মিতভাবে পলি খননের কাজ চালিয়ে যাওয়া।

৩)  পাইলট জাহাজের সাহায্যে বড় বড় জাহাজ গুলিকে পথ দেখিয়ে বন্দরে প্রবেশ করানো।

৪)  সহকারি হিসেবে হুগলি ও হলদি নদীর মোহনায় হলদিয়া বন্দর স্থাপন।

 

উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্বেও কলকাতা বন্দরের অবনতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।  তাই এই বন্দরের সমস্যা সমাধানে আরো দুটি বিকল্প পথ অপরিহার্য।

 ১)  বদ্বীপ অঞ্চলে কোন একটি উপযুক্ত বেছে নিয়ে বন্দর গড়ে তুলে কলকাতার সাথে তার রেলপথে যোগসুত্র স্থাপন করা।

২)   সুয়েজ  বা পানামা খালের ন্যায় অনুরো খালের সাহায্যে কলকাতা বন্দরকে বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত করা।

 বিকল্প পন্থা দুটির মধ্যে দ্বিতীয়ত টি অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ তাই আমাদের মতো দরিদ্র দেশের পক্ষে ইহা সম্ভব নাও হতে পারে।  তবে সে ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ অনুসরণ করলে পূর্ব ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। 


Share:

Site ans Situation factors of Town Class 10 Geography || শহর নগর গড়ে ওঠার কারণ দশম শ্রেণী ভূগোল || WEBSE

শহর কাকে বলে শহর নগর গড়ে ওঠার কারণ গুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ?

 যখন কোন অঞ্চলে উন্নত যোগাযোগপ্রশাসনিক সুবিধাশিল্প, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদির সুযোগ-সুবিধা প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং মানুষজন কৃষি  বর্জিত জীবিকায়  নিযুক্ত  থেকে নিবিড় বিন্যাস গড়ে তোলে,   তখন তাকে শহর নগর বলে। 2011 সালের পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতের মোট শহরের সংখ্যা 7935 টি যার মধ্যে 46 টি শহরের জনসংখ্যা 10 লক্ষের বেশি।  এই 4 টি শহরকে মহানগরে চিহ্নিত করা হয়েছে।


 
শহর গড়ে ওঠার কারণ

 শহর  বা নগর গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যার মানুষ থাকলে চলে না।  উপযুক্ত অবস্থান (Site)উপযুক্ত অবস্থা বা পরিপ্রেক্ষিত ( Situation)এবং উপযুক্ত কার্যাবলী (Function) প্রভৃতির প্রসার  লাভের দ্বারা  জনপদের বিকাশ ঘটিয়ে সমৃদ্ধ শহর নগর গড়ে ওঠে।  কাজেই একটি নির্দিষ্ট অবস্থানঅবস্থা  বা  পরিপ্রেক্ষিত  এবং কার্যাবলী এই তিনটি বিষয়ের সম্মিলিত প্রভাবে শহর বা নগরের সৃষ্টি হয়।

 

 অবস্থান (Site)

 বিভিন্ন প্রকার অবস্থানে একটি শহর বা নগর গড়ে ওঠে।  এখানে অবস্থান বলতে, খনিজ সম্পদ ও শক্তি সম্পদের অবস্থানপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যকর স্থানধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পীঠস্থাননিরাপত্তার প্রয়োজনসামুদ্রিক পোতাশ্রয় প্রভৃতি সুবিধা যুক্ত অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্যশিল্প, ব্যাংক ব্যবস্থা ইত্যাদি অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ কাজকর্মের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে শ্রমশক্তির আগমন ঘটে।  যার ফলে উক্ত অবস্থানগুলিকে কেন্দ্র করে শহর নগর গড়ে ওঠে।

 


পরিপ্রেক্ষিত বা অবস্থা (Situation)

 অবস্থানের পাশাপাশি বিভিন্ন  পরিপ্রেক্ষিতে  শহর বা নগর গড়ে ওঠে।  বিভিন্ন প্রকার পরিপ্রেক্ষিতে যেমন দুটি নদীর সঙ্গমস্থলে বন্দর, অথবা জলপথ ও স্থলপথ এর মিলন স্থলে পরিবহন মাধ্যমের পরিবর্তন স্থলে, এছাড়া  বিভিন্ন প্রকার যোগাযোগের কেন্দ্রস্থলে, সুদীর্ঘ  বাণিজ্য পথের বিশ্রাম স্থলেএবং প্রাকৃতিক ও আঞ্চলিক ভিন্নতার  পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষত পর্বত ও নিম্নভূমির সংযোগস্থলেনিম্নজলাভূমি ও অপেক্ষাকৃত উচ্চভূমির সংযোগ স্থলেতৃণভূমি ও মরুভূমির পণ্য বিনিময় স্বার্থে উভয়ের সংযোগস্থলে, সমুদ্র ও স্থলভাগের সংযোগস্থলেসীমান্তবর্তী এলাকার প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে নজরদারীর সুবিধার্থে প্রভৃতির পাশাপাশি সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে শিল্প গঠন ও তার উন্নতি, একটি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রকার অর্থনৈতিক কার্যাবলীর বিকাশে অঞ্চলটি ক্রমে ক্রমে শহর বা নগরে পর্যবসিত হয়।

 


 কার্যাবলী (Function)

 অবস্থান    পরিপ্রেক্ষিতের পাশাপাশি কতগুলি বিশেষ কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করেও  শহর নগর গঠিত হয়।  বিভিন্ন প্রকার কার্যাবলীর মধ্যে  শাসনতান্ত্রিক কাজকর্মের সুবিধাপ্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্মের সুবিধাধর্মীয় কার্যকলাপসাংস্কৃতিক কার্যকলাপবিভিন্ন উৎপাদন ভিত্তিক কার্যাবলীইত্যাদির উপর ভিত্তি করে একটি অঞ্চল বা একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক স্থান শহর বা নগরে পর্যবসিত হয়।

 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট বোঝা যায় যেঅবস্থানপরিপ্রেক্ষিত এবং কার্যাবলী পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং এই তিনটি বিষয়ের সম্মিলিত প্রভাবে শহর ও নগর গঠিত হয়।


Share:

Popular Posts

Blog Archive

Recent Posts

Total Pageviews