বায়ুর কাজ
প্রশ্ন:- বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ব্যাঙের ছাতার মত আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপকে কী
বলে?
উঃ গৌর।
প্রশ্ন:- রাজস্থানের মরুঅঞ্চলের চলমান বালিয়াড়িকে কী বলে?
উঃ
ধ্রিয়ান।
প্রশ্ন:- পৃথিবীর কোথায় লোয়েস সমভূমি দেখা যায়?
উঃ
হোয়াংহো নদীর অববাহিকায়।
প্রশ্ন:- তির্যক বালিয়াড়ির আর এক নাম কী?
উঃ
বার্খান।
প্রশ্ন:- পৃথিবীর উচ্চতম বালিয়াড়ি কোথায় অবস্থিত?
উঃ উত্তর
আফ্রিকার আলজিরিয়ায় অবস্থিত।
প্রশ্ন:- বায়ু বাহিত পলি নিম্নভূমিতে সঞ্চিত হয়ে যে সমতলভূমির সৃষ্টি করে তাকে কী
বলে?
উঃ লোয়েস
সমভূমি।
প্রশ্ন:- বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উঃ
বালিপূর্ণ বায়ুর গতিপথে গাছপালা, প্রস্তরখন্ড, ঝোপঝার বা অন্য কোন বাধা থাকলে তাতে
প্রতিহত হয়ে বায়ুবাহিত বালির কিছু অংশ সেখানে সঞ্চিত হয় এবং উঁচু ঢিবির মত অবস্থান
করে, একে বালিয়ারি বলে।
প্রশ্ন:- বার্খান কী?
উঃ যেসব
বালিয়াড়ি প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে আড়াআড়ি ভাবে একেবারে আধখানা চাঁদের মত গড়ে
ওঠে সেগুলিকে বলে বার্খান।
প্রশ্ন:- লোয়েস সমভূমির একটি উদাহরণ দাও।
উঃ চীনের
উত্তরাংশে অবস্থিত হোয়াংহো অববাহিকার মধ্যভাগে লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন:- হামাদা কী?
উঃ কোন
কোন সময় মরুভূমির যেসব স্থান বন্ধুর ও শিলাগঠিত বা পাথুরে সেখানে বায়ুপ্রবাহ
অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের জন্য স্থানটি সমতল ও মসৃণাকার ধারণ করে। সাহারা
মরুভূমিতে এই ধরনের শিলাগঠিত সমতলভূমিকে হামাদা বলে।
প্রশ্ন:- ইনসেল বার্জ কী?
উঃ অনেক
সময় প্রায় সমতল মরুভূমির মধ্যে স্বল্প উচ্চতা বিশিষ্ট কিছু টিলাকে বিক্ষিপ্ত ভাবে
অবস্থান করতে দেখা যায়, এগুলিকে বলে ইনসেল বার্জ।
প্রশ্ন:- কোন কোন অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়?
উঃ উষ্ণ
মরু অঞ্চলে, শুষ্ক অঞ্চলে এবং সমুদ্র
উপকূলে।
প্রশ্ন:- বায়ু কয়টি পদ্ধতিতে ক্ষয়কার্য করে?
উঃ তিনটি
পদ্ধটিতে। ক্ষয়সাধন, অপসারণ এবং অবক্ষেপণ।
প্রশ্ন:- বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।
উঃ গৌর, জিউগেন, ইনসেল বার্জ,
ইয়ার্দাঙ প্রভৃতি।
প্রশ্ন:- ভারতের কোথায় ধান্দ দেখা যায়?
উঃ
রাজস্থানের মরুঅঞ্চলে।
প্রশ্ন:- বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।
উঃ
বালিয়াড়ি, বার্খান।
প্রশ্ন:- ধ্রিয়ান
কী ?
উত্তর:- চলমান বালিয়াড়িকে ধ্রিয়ান বলে ।
প্রশ্ন:- বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সুক্ষ্ম বালিকণা
বহুদুরে বাহিত ও সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠন করে তাকে কী বলে ?
উত্তর:- বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সুক্ষ্ম বালিকণা
বহুদুরে বাহিত ও সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠন করে তাকে লোয়েস (Loess) বলে ।
প্রশ্ন:- প্রবাহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে
সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে (Sandune) কী বলে ?
উত্তর:- প্রবাহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে
সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলে ।
প্রশ্ন:- বায়ু ও জলধারার যৌথ ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের
ফলে কী গঠিত হয় ?
উত্তর:- বায়ু ও জলধারার যৌথ ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের
ফলে পেডিমেন্ট (Pediment) গঠিত হয় ।
প্রশ্ন:- প্রায়-সমতল
মরুভুমির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কঠিন শিলা গঠিত টিলাগুলিকে কী বলে ?
উত্তর:- প্রায়-সমতল
মরুভুমির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কঠিন শিলা গঠিত টিলাগুলিকে ইনসেলবার্জ(Inselberg)
বলে ।
প্রশ্ন:- রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে চলন্ত
বালিয়াড়িকে (Sabdune) কী বলে ?
উত্তর:- রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে চলন্ত
বালিয়াড়িকে (Sabdune) ধ্রিয়ান বলে ।
প্রশ্ন:- ইয়ার্দাং ভূমিরূপ কোথায় দেখা যায় ?
উত্তর:- ইয়ার্দাং ভূমিরূপ দেখা যায় শুষ্ক অঞ্চলে ।
প্রশ্ন গৌর ভূমিরূপটি কিসের তরঙ্গের দ্বারা গঠিত হয় ?
উত্তর:- গৌর ভূমিরূপটি বায়ুর তরঙ্গের দ্বারা গঠিত
হয় ।
প্রশ্ন:- পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি
ইংরেজি কোন অক্ষরের মতো হয় ?
উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি
ইংরেজি 'U'অক্ষরের মতো হয় ।
প্রশ্ন:- হামাদা কী ?
উত্তর:- প্রস্তরময় অমসৃণ মরুভুমিকে হামাদা বলে ।
প্রশ্ন:- বার্খান কী ?
উত্তর:- তির্যক বালিয়াড়িকে বার্খান বলে ।
প্রশ্ন:- বায়ুর কোন কাজের ফলে বার্খান সৃষ্টি হয় ?
উত্তর:- বায়ুর সঞ্চয় কাজের ফলে বার্খান সৃষ্টি হয়
।
প্রশ্ন:- প্লায়া কাকে বলে ?
উত্তর:- মরুভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট হ্রদকে প্লায়া বলে ।
No comments:
Post a Comment