Homoaphere and Heterosphere Class 10 Geography || হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার দশম শ্রেণী ভূগোল || WBBSE

 বায়ুমণ্ডল গঠনকারী উপাদান এর উপর ভিত্তি করে  বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস

 

আবহাওয়া বিজ্ঞানীগণ বায়ুমন্ডলকে প্রধান দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন  । উপাদানের তারতম্যে বায়ুমণ্ডলের শ্রেণীবিভাগ  এবং উষ্ণতার ভিত্তিতে  বায়ুমণ্ডলের শ্রেণীবিভাগ। 

 

উপাদানের তারতম্যে অর্থাৎ বায়ুমণ্ডল গঠনকারী উপাদান প্রভৃতি এবং স্তর গুলির অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আবহাওয়া বিজ্ঞানীগণ প্রধান দুটি স্তরে বিভক্ত করেন - 

 A) হোমোস্ফিয়ার বা সমমন্ডল

 B) হেটেরোস্ফিয়ারের বা  বিষম মন্ডল

 

 A) হোমোস্ফিয়ার

ভূপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বে 90 কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের স্তরটির রাসায়নিক গঠন এবং বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই রকম থাকে তাই এই স্তরটিকে হোমোস্ফিয়ার বলে

নাইট্রোজেন অক্সিজেন কার্বন ডাই অক্সাইড আর্গন নিয়ন হিলিয়াম ক্রিপটন জেনন মিথেন ওজন  প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার গ্যাসীয় জলীয়বাষ্প ধূলিকণা কার্বন কণা অন্যান্য বিজাতীয় পদার্থের সমন্বয় হোমোস্ফিয়ার গঠিত

হোমোস্ফিয়ার এর অন্তর্গত ট্রপোস্ফিয়ার স্ট্রাটোস্ফিয়ার এবং মেসোস্ফিয়ার অবস্থিত। এই উপস্তর গুলির মধ্যে আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়মিত পরিবর্তন ট্রপোস্ফিয়ারের সর্বাধিক দেখা যায় তাই ট্রপোস্ফিয়ার কে আবহাওয়া গঠনকারী স্তর বলা হয় যা আবহাওয়া বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

 

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার

B) হেটেরোস্ফিয়ার

 ঊর্ধ্বে 90 কিলোমিটার থেকে বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমা প্রায় 10 হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেখানে বিভিন্ন প্রকার গ্যাসের অনুপাত এবং বায়ুমণ্ডলের স্তর গুলির বৈশিষ্ট্য একই রকম থাকে না  বিজ্ঞানীগণ  এই তর্কে  হেটেরোস্ফিয়ারের বা বিষমমন্ডল রূপে চিহ্নিত করেছেন ইহা চারটি উপস্তর সমন্বয় গঠিত

 

১) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর

 90 থেকে 200 কিমি উচ্চতার মধ্যে আণবিক নাইট্রোজেন গ্যাসের প্রাচুর্য লক্ষ করা যায় তাই একে বলে আণবিক নাইট্রোজেন  স্তর

 

২) পারমাণবিক  অক্সিজেন স্তর

200 থেকে এগারোশো কিমি পর্যন্ত অংশে পারমাণবিক অক্সিজেন অনুর প্রাচুর্য লক্ষণীয় তাই একে পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর বলে।

 

৩) হিলিয়াম স্তর

1100 থেকে  3500  কিমি পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের অংশটিকে হিলিয়াম স্তর বলা হয় কারণ এই স্তরে আংশিক হিলিয়াম গ্যাসের প্রাচুর্য লক্ষ করা যায়।

 

৪) পারমাণবিক হাইড্রোজেন স্তর

3500 থেকে বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমা অর্থাৎ 10000 কিমি পর্যন্ত হাইড্রোজেন পরমাণুর প্রাচুর্য ঘটেছে তাই একে পারমাণবিক হাইড্রোজেন স্তর বলে। 

পারমাণবিক হাইড্রোজেন  স্তরে বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমা কারণ এর পরবর্তী অংশে হাইড্রোজেন পরমাণুর ঘনত্ব মহাশূন্যের হাইড্রোজেন পরমাণুর ঘনত্বের সাথে সমান হয়ে গেছে।



Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts

Blog Archive

Recent Posts

Total Pageviews