Process of Heating Atmosphere Class 10 Geography || বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা লাভের পদ্ধতি দশম শ্রেণী ভূগোল || WBBSE

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বলতে কী বোঝ বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা লাভের পদ্ধতি গুলি চিত্রসহ আলোচনা কর ?

পৃথিবী তথা ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন অঞ্চলে তাপের প্রধান উৎস হল সূর্যালোক বা সূর্য । সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত তাপ ও আলোক  ক্ষুদ্রতরঙ্গে  স্বচ্ছ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়।  উত্তপ্ত হওয়ার পর ভূপৃষ্ঠ  বৃহৎ তরঙ্গে যে তাপ বিকিরণ করে তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডল উষ্ণতা লাভ করে।  তাই বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা লাভ বলতে  সংশ্লিষ্ট ভূভাগের উষ্ণতাকে বোঝায়। যেহেতু বায়ু স্বচ্ছ পদার্থ তাই ক্ষুদ্রতরঙ্গে পৃথিবীতে আসা  সৌরতাপে  প্রত্যক্ষভাবে বায়ুমন্ডল উষ্ণতা  লাভে অক্ষম হলেও  পরোক্ষভাবে কতগুলি বিশেষ পদ্ধতির  মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল উষ্ণতা লাভ করে। যথা -


Process of Heating Atmosphere Class 10 Geography

বিকিরণ পদ্ধতি

প্রত্যক্ষ সৌর বিকিরণ ক্ষুদ্র তরঙ্গে হওয়ায় ভূপৃষ্ঠ প্রাথমিক ভাবে উত্তপ্ত  হওয়ার পর ভূপৃষ্ঠ তার উত্তাপ ধারণের সংকট সীমা অতিক্রম করলে  বৃহৎ তরঙ্গে যে  তাপ বিকিরণ করে  তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডল উষ্ণতা লাভ করেতাই একে বিকিরণ পদ্ধতি বলে।

 

পরিবহন পদ্ধতি

সূর্য থেকে আসা আলোক শক্তির প্রত্যক্ষ সৌর বিকিরণে  ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হওয়ার পর ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু স্তরের অনু থেকে অনুতে  এই  তাপ  ধীরে ধীরে  সঞ্চালিত হয় যা বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করতে সাহায্য করে।  তাই এই পদ্ধতিকে পরিবহন পদ্ধতি বলে।

 

পরিচলন পদ্ধতি

ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে পড়লে পরোক্ষ বিকিরণ ও পরিবহন পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু উষ্ণ, প্রসারিত ও হালকা হয় উপরে উঠে যায়ফলে ঐ স্থানে একটি আপেক্ষিক শূণ্যস্থান ( Partial Hollow ) বা নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়।  এই  নিম্নচাপ পরিপূরনে  ঊর্ধ্বমুখী উষ্ণ বায়ু পুনরায় শীতল ও ভারী হয়ে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে এবং পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়।  এইভাবে উষ্ণ বায়ুর ঊর্ধ্ব গমন এবং শীতল বায়ুর  অধঃগমনে  সৃষ্ট পরিচলন স্রোতে  বায়ু আংশিকভাবে উষ্ণতা লাভ করে।

 

শোষণ পদ্ধতি

শোষণ পদ্ধতি বায়ুমণ্ডলের কতকগুলি বিশেষ উপাদান যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইডওজোনধূলিকণাজলীয় বাষ্প এবং বিভিন্ন প্রকার বিজাতীয় পদার্থ সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের প্রায় 19 শতাংশ শোষণ করে নেওয়ায় বায়ু সামান্য পরিমাণ উত্তপ্ত হয়।  তাই একে বলে  শোষণ পদ্ধতি।

 

ঘনীভবনে  লীনতাপ ত্যাগ 

সৌর রশ্মির তাপীয় ফলের  প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের নদী নালা, সাগর মহাসাগরহ্রদ জলাশয়খাল বিল প্রভৃতির জল  বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়।  ওপরের  শীতলতায়  এই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পর্যবসিত হয়  এবং যে লীনতাপ ত্যাগ করে  তার ফলে বায়ু সামান্য পরিমাণ উত্তপ্ত হয়। 



Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts

Blog Archive

Recent Posts

Total Pageviews