পশ্চিমবঙ্গের নদনদী মানচিত্র অনুশীলন
ম্যাপ পয়েন্টিং ভূগোল বিষয়কে ভালোভাবে হাতে-কলমে শেখার একটি উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার। এর দ্বারা আমরা ভূগোলের কোন স্থানের সঠিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি। পাশাপাশি ম্যাপ পয়েন্টিং এর অনুশীলনের মাধ্যমে খুব সহজে নম্বর তোলা যায়। আজকে আমরা আলোচনা করব পশ্চিমবঙ্গের নদ-নদীর ম্যাপ পয়েন্টিং সম্পর্কে। প্রসঙ্গত বলে রাখি পরীক্ষার সময় পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলি থেকে শুধু একটি মাত্র নদী প্রদত্ত মানচিত্রে সঠিক সূচক ধারা চিহ্নিত করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের নদী গুলিকে ভালভাবে বোঝার জন্য আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি। উত্তরবঙ্গের নদী গুলি হল তিস্তা, মহানন্দা, জলঢাকা, তোর্সা, কালজানি, রায়ডাক এবং সংকোশ। তবে পরীক্ষায় মহানন্দা এবং তিস্তা নদী ফি বছর ঘুরেফিরে আসে। এদের পাশাপাশি আত্রাই ও পুনর্ভবা নদীটি উল্লেখযোগ্য।
পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল থেকে বৃষ্টির জলে পুষ্ট যে সকল নদীগুলি পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে ভাগীরথী নদী ও হুগলি নদীতে মিশেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ময়ূরাক্ষী, অজয়, দামোদর, দ্বারকেশ্বর, শিলাই বা শিলাবতী, কাসাই বা কংসাবতী, এছাড়া কেলেঘাই এবং সুবর্ণরেখা নদী উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত প্রবাহ রূপনারায়ন নামে পরিচিত। এই নদী গুলির মধ্যে অজয়, দামোদর এবং সুবর্ণরেখা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে আসি ভাগীরথী নদীর মোহনা অঞ্চলে পূর্বদিকে সুন্দরবনের নদীগুলির প্রসঙ্গে। এই অঞ্চলের নদী গুলি জোয়ার ভাটা জলে পুষ্ট অসংখ্য খাঁড়ি দ্বারা যুক্ত যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নদী গুলি হল সপ্তমুখী, ঠাকুরান, মাতলা, বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, গোসাবা, হাড়িয়াভাঙ্গা ইত্যাদি। তবে এই নদীগুলি খুব একটা পরীক্ষায় আসেনা।
আশা করি ওপরের মানচিত্রে দেখানো পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলি অনুশীলনের মাধ্যমে তোমরা নিশ্চয়ই পরীক্ষায় ভালো নাম্বার তুলতে পারবে। মানচিত্র অনুশীলনের ক্ষেত্রে যদি কোন বোঝার অসুবিধা সৃষ্টি হয়, তোমরা নিঃসংকোচে কমেন্ট বক্সে সমস্যার কথা জানিও।
Onek khujar por apner map dekhe Ami ottonto upokrito holam, thank you
ReplyDelete