বায়ুমন্ডলকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে যখন উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন বায়ুযান মানুষ ও পণ্য সামগ্রীকে অতি অল্প সময়ে একস্থান থেকে অন্যত্র বহন করে নিয়ে যায় তাকে আকাশ পথ বা বিমান পথ, পরিবহণ বলে। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন বায়ুযান অর্থাৎ প্লেন, হেলিকপ্টার প্রভৃতির মাধ্যমে এক বিমান বন্দর থেকে আরেক বিমান বন্দরে মানুষ ও দ্রব্য সামগ্রীর চলাচলকে বিমান পথ বলে। প্রসঙ্গত, মহাকাশে যে রকেট ও স্পেস শ্যাটেল পাঠানো হয়। সে গুলিকেও আকাশ পথের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
▀ ▀ প্রসঙ্গত, বিমান পথ গুলিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যখন মানুষ বা পণ্য বিমানের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অপর দেশে, চলাচল করে তাকে আন্তর্জাতিক বিমান পথ বা International Airways বলে। অপর দিকে, যখন মানুষ বা পণ্য বিমানের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে একস্থান থেকে অপর স্থানে, চলাচল করে তাকে অভ্যন্তরীন বিমান পথ বা Domestic Airways বলে।
বিমান পথ বা আকাশ পথের সুবিধা বা গুরুত্ব
▀ তৃতীয়ত, আন্ত মহাদেশীয় যাত্রী পরিবহনে বিমান পথের তুলনা নেই।
▀ প্রথমত, বিমান পরিবহণের মাধ্যমে মানুষ ও বিশেষ পণ্য সামগ্রী খুব তারাতাড়ি একস্থান থেকে অপর স্থানে পাঠানো যায়। এখানে বিশেষ পণ্য বলতে হাল্কা, দামী ও শৌখিন দ্রব্যের কথা বলা হয়েছে।
▀ দ্বিতীয়ত, উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য যেমন অরুনাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অন্য দিকে লে লাডাক প্রভৃতি দূর্গম স্থানে যেখানে সড়ক পথে পৌছতে কয়েক দিল লেগে যায়, সেখানে বিমান পথের মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘন্টায় পৌছান যায়।
▀ দ্বিতীয়ত, বিমানে যে জ্বালানী ব্যবহৃত হয়, তা হল গ্যাসোলিন। যা আমাদের বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। তাই, বিশ্ব অর্থনীতি, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সাথে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, শেয়ার বাজারের ওঠানামা, প্রভৃতি জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়ে দেয়।
▀ চতুর্থত, ভূমিকম্প হোক বা বন্যা উপদ্রুত এলাকায় খুব অল্প সময়ে হেলিকপ্টার ও বিমানের মাধ্যমে ত্রান সামগ্রী বিলি বন্টন করা যায়।
▀ পঞ্চমত, বহি শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে, যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং সেনাবাহিনীর রসদ, সীমান্তবর্তী এলাকায়, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পৌছানোর জন্য বিমানপথ খুবই গুরুত্ব পূর্ন ।
বিমান পথ বা আকাশ পথের সমস্যা
▀ প্রথমত, আমেরিকা ও ইউরোপের উন্নত দেশ গুলির তুলনায়, আমাদের দেশে উড়ানের সংখ্যা অনেক কম।
▀ ▀ চতুর্থত, আধুনিক বিমান ও যন্ত্রপাতীর অভাব। উন্নত মানের র্যাডার ও ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং ব্যাবস্থা, এই সকল যন্ত্রপাতীর অভাবে আমাদের দেশের অনেক বিমান বন্দরে রাতের বেলা বিমান ওঠা নামা করতে পারেনা। পাশাপেশি, আধুনিক এয়ারবাস অথবা বোয়িং বিমান গুলি, যেমন আরাম দায়ক তেমনি জ্বালানী সাশ্রয় হয়, এদের অভাব বিমান পরিসেবার একটি প্রাধান অন্তরায়।
▀ তৃতীয়ত, ভারতের মতো বিশাল দেশে বিমান বন্দরের সংখ্যা অনেক কম, যেখানে ভারতে শহরের সংখ্যা প্রায় চার হাজার, যেখানে সচল বিমান বন্দরের সংখ্যা মাত্র ১২৩ টি এবং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সংখ্যা মাত্র ৩৪ টি ।
▀ পঞ্চমত, উন্নত মানের পরিসেবা, যাত্রী ভাঁড়া প্রভৃতি বিষয়ের কারনে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিদেশী কোম্পানী গুলির কাছে ভারতের দেশীয় বিমান কোম্পানী গুলি প্রতিযোগীতায় ক্রমশ পিছিয়ে পরছে।
▀ ▀ আমাদের দেশে বর্তমানে যেসকল উড়ান সংস্থা গুলি পরিসেবা প্রদান করে থাকে, তাদের মধ্যে ▀ এয়ার ইন্ডিয়া ▀ ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্স ▀ ইন্ডিগো ▀ এয়ার এশিয়া ▀ গো এয়ার ▀ ভিস্তারা ▀ জেট এয়ারওয়ে ▀ স্পাইস জেট প্রভৃতি বিমান এবং ▀ পবন হংস হেলিকপ্টার পরিসেবা, উল্লেখযোগ্য। কিছু উড়ান সংস্থা আবার বন্ধো হয়ে গেছে যেমন, কিংফিশার এয়ার লাইন্স ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment