⚫কোন স্থানের নির্দিষ্ট সময়ে বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা আদ্রতা অধঃক্ষেপণ বা বৃষ্টিপাত কিরকম থাকে তার সামগ্রিক অবস্থাকে বলা হয় ।
⚫আবহাওয়া আবহাওয়া পরিবর্তনশীল তাই প্রতি ঘন্টায় এবং প্রতিদিন আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।
⚫আবহাওয়ার ৩০ থেকে ৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় কে জলবায়ু বলে ।
⚫জলবায়ু পরিবর্তনশীল নয় ।
⚫কোন স্থানের জলবায়ু পরিবর্তন হতে দীর্ঘ সময় লাগে ।
⚫ভারতকে মৌসুমী জলবায়ুর দেশ বলা হয় ।
⚫পৃথিবীর অন্যান্য জলবায়ুগুলির মধ্যে নিরক্ষীয় জলবায়ু তুন্দ্রা জলবায়ু উষ্ণ মরু জলবায়ু শীতল নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু উল্লেখযোগ্য ।
⚫WMO হল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ।
⚫কোন স্থানের জলবায়ু নির্ধারণ করতে ন্যূনতম ৩১ বছরের গড় আবহাওয়ার প্রয়োজন হয় ।
⚫বায়ুমন্ডলে উপস্থিত জলীয় বাষ্প কে বায়ুর আদ্রতা বলে ।
⚫এই জল প্রধানত তিনটি রূপে যথা কঠিন তরল এবং গ্যাসীয় রূপে থাকতে পারে ।
⚫বায়ুমন্ডলে জল কঠিন রূপে তুষার হিমায়িত বরফের কেলাস হিসাবে থাকতে পারে ।
⚫বায়ুমন্ডলে তরলরূপে জল সাধারণত ঘনীভবনের পর মেঘে সৃষ্ট জলকণা অপরদিকে শিশির কুয়াশা হিসাবে থাকে।
⚫বায়ুমন্ডলে জল গ্যাসীয় রূপে থাকে জলীয় বাষ্প হিসাবে ।
⚫পৃথিবীর মোট জলের মাত্র ০.০০১ শতাংশ জল বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করে ।
⚫বায়ুর আদ্রতা নির্ণয় করার সময় শুষ্ক এবং আর্দ্র এই শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয় ।
⚫সাধারণ কথায় আদ্র বায়ু বলতে স্যাঁত সাথে ভেজা বাতাসকে বোঝায় ।
⚫শুষ্ক বায়ু বলতে শুকনো বাতাসকে বোঝায় ।
⚫আদ্র বায়ুতে প্রায় চার শতাংশ জলীয়বাষ্প থাকতে পারে ।
⚫শুষ্ক বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকে না বললেই চলে।
⚫কোন উষ্ণতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাকে বলা হয় ওই বায়ুর নিরপেক্ষ বা চরম আদ্রতা।
⚫উষ্ণতা অনুযায়ী কোন নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অবস্থিত প্রকৃত জলীয় বাষ্পের পরিমাণের সঙ্গে যতখানি জলীয় বাষ্প যোগ করলে ওই বায়ু টিপ্ত হবে পরিপ্রৃপ্ত হবে তার অনুপাতকে আপেক্ষিক আদ্রতা বলে।
⚫আপেক্ষিক আদ্রতা শতকরা হিসাবে প্রকাশ করা হয় ।
⚫আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বাধিক হয় – ভোর বেলায়।
⚫কোন বায়ুর নিরপেক্ষ আদ্রতা বৃদ্ধি পেলে তার আপেক্ষিক আদ্রতা বৃদ্ধি পায়।
⚫অপরদিকে বায়ুর নিরপেক্ষ আর্দ্রতা কমে গেলে তার আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে যায়।
⚫বায়ুর উষ্ণতা কম-বেশি হলে তার সঙ্গে আপেক্ষিক আদ্রতা বিপরীতভাবে পরিবর্তন ঘটে।
⚫বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ কমে যায়
⚫অপরদিকে বায়ুর উষ্ণতা কমে গেলে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়।
⚫উচ্চতার সঙ্গে আপেক্ষিক আদ্রতার সম্পর্ক – ব্যস্তানুপাতিক।
⚫কোন বিশেষ বায়ুতে মোট আদ্র বায়ুর ভর এর সঙ্গে জলীয় বাষ্পের ভরের অনুপাতকে বিশেষ আদ্রতা বা আদ্রতার গুণাঙ্ক বলে।
⚫যে উষ্ণতায় আদ্র বায়ুর জলীয় বাষ্প জলকণায় পরিণত হয় সেই উষ্ণতাকে শিশিরাঙ্ক তাপমাত্রা বলে।
⚫আদ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্ক অতিক্রম করলে বায়ুর মধ্যস্থিত অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পর্যবসিত হয় যাকে ঘনীভবন বলে।
⚫বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ যত বেশি হয় লীন তাপের পরিমাণও তত বেশি হয়।
⚫হাইগ্রোমিটার বা শুষ্ক ও আর্দ্র কুন্ড যন্ত্রের মাধ্যমে বায়ুর আদ্রতা পরিমাপ করা হয়।
⚫জলীয়বাষ্প সূর্যের তাপকে শোষণ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করে।
⚫বায়ুমণ্ডলের যে গরম বা ঠান্ডা আমরা দেহের ত্বক দ্বারা অনুভব করি তাদের তাকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তাপমাত্রা বলে।
⚫বর্তমানে শিশিরাঙ্ক হাইগ্রোমিটার, হেয়ার হাইগ্রোমিটার। রেসিস্ট্যান্ট হাইড্রোমিটার, সাইক্রোমিটার প্রভৃতি আদ্রতা মাপক যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছ ।
⚫ঘনীভবন এর ফলে সৃষ্ট হওয়া বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত অতি সূক্ষ্ম জলকণা অথবা তুষার কণাপুঞ্জকে মেঘ বলে।
⚫১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ রসায়নবিদ লিউক হওয়ার্ড মেঘের শ্রেণীবিভাগ করেন।
⚫তার মতে উচ্চতার ভিত্তিতে মেঘ কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
⚫অধিক উচ্চতার মেঘ বোঝাতে সিরো বলা হয় যার উচ্চতা 6000 থেকে ১২ হাজার মিটার।
⚫মধ্যম উচ্চতার মেঘ বোঝাতে অল্টো বলা হয় যার উচ্চতা ২০০০ থেকে ৬ হাজার মিটার।
⚫এবং নিচু আকাশের মেঘ বোঝাতে স্ট্র্যটো বলা হয় যার উচ্চতা দুই হাজার মিটারের কম।
⚫পাশাপাশি বৃষ্টিপাত যুক্ত মেঘ বোঝাতে নিম্বো কথাটি ব্যবহার করা হয়।
⚫মেঘের প্রকৃতি এবং রং অনুসারে মেঘকে আবার ভাগ করা যায় যেমন- সিরাজ বা অলক মেঘ, কিউমুলাস বা স্তুপ মেঘ, স্ট্র্যাটাস বা স্তর মেঘ এবং নিম্বাস বা বর্ষণ মেঘ ।
⚫মেঘাচ্ছন্নতার পরিমাপ করা হয় – অক্টাস এ।
⚫Mother of Pearl Cloud – সিরাস মেঘকে বলা হয়।
⚫বর্ষাকালে বায়ুর গড় আপেক্ষিক আদ্রতা সবচেয়ে বেশি হয়।
⚫শীতকালে আকাশে দেখা যায় – সিরোকিউমুলাস মেঘ।
⚫অগ্নিশিখা পুষ্প বা পাখির পালকের মতো মেঘ – সিরাস মেঘকে বলা হয়।
⚫Sheep Cloud / Wool-Pack Cloud – অল্টো কিউমুলাস মেঘ।
⚫Bumpy Cloud – স্ট্রাটো কিউমুলাস।
⚫কিউমুলোনিম্বাস মেঘকে বড় মেঘ বলে।
⚫ফুলকপির মতো দেখতে মেঘ হল – কিউমুলাস মেঘ।
⚫পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে – নিগ্রোস্টাটাস মেঘে।
⚫যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের কোন বস্তু ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে তাকে অধঃক্ষেপণ বা প্রিসিপিটেশন বলে।
⚫অধক্ষেপণ বলতে বৃষ্টিপাত তুষারপাত শিলা বৃষ্টি কুয়াশা শিশির তুহিন স্লিট মিস্ট গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি প্রভৃতিকে বোঝায়।
⚫আবহাওয়া বিজ্ঞানী বার্জেরন এবং ফিন্ডিসন তাদের হিমকেলাস তত্ত্ব বা আইস ক্রিস্টাল থিওরিতে বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি ব্যাখ্যা করেছেন।
⚫অপরদিকে বৃষ্টিপাতের সৃষ্টির ব্যাখা হিসাবে সংঘর্ষ সম্মেলন তত্ত্বের জনক হলেন ই জি বোভেন।
⚫অধক্ষেপণ বলতে প্রধানত বৃষ্টিপাতকেই বোঝানো হয় কারণ 90% অধক্ষেপণ হল বৃষ্টিপাত।
⚫তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন পরিচলন বৃষ্টিপাত শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত এবং ঘূর্ণি বৃষ্টিপাত।
⚫ ‘4 O’clock Rain’ নিরক্ষীয় অক্ষাংশের পরিচলন বৃষ্টিপাত।
⚫পর্বতের যে ঢালে শৈরতক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয় তাকে প্রতিবাত ঢাল বলে।
⚫অপরদিকে পর্বতের প্রতিবাত ঢালের বিপরীত দিকের ঢালকে বলে অনুবাত ঢাল।
⚫অনুবাদ ঢালে বৃষ্টিপাত হয় না বলে একে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
⚫শিলং ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের উদাহরণ।
⚫অপরদিকে মেঘালয়ের মৌসিনরাম প্রতিবাত ঢালে অবস্থিত হওয়ায় বৃষ্টিপাত অধিক ঘটে।
⚫বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র – রেইনগজ।
⚫বায়ুর উষ্ণতা মাপক যন্ত্র – থার্মোমিটার।
⚫বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র – ব্যারোমিটার।
⚫বায়ুর দিক নির্ণয় যন্ত্রের নাম – বাত পতাকা।
⚫বায়ুর আদ্রতা পরিমাপক যন্ত্র – হাইগ্রোমিটার।
⚫বায়ুর গতিবেগ মাপার যন্ত্রের নাম – অ্যানিমোমিটার।
⚫বায়ুর শক্তি মাত্রা নির্ণয়কারী স্কেল – বিউফোর্ট স্কেল।
⚫বায়ুর গতিবেগ মাপার একক – নট (নটিকাল মাইল)।
⚫বাষ্পীভবনের হার পরিমাপক যন্ত্রের নাম – অ্যাটমোমিটার।
⚫আপেক্ষিক আদ্রতা পরিমাপক যন্ত্র – সাইক্ৰোমিটার।
⚫বাষ্পীভবন পরিমাপের যন্ত্র – ইভাপোরিমিটার।
⚫মেঘাচ্ছন্নতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম – নেফেলোমিটার।
⚫মেঘের সংখ্যা ও গতি পর্যন্তেকার যন্ত্রের নাম – নেফোস্কোপ।
⚫মেঘের উচ্চতা নির্ণয়কারী যন্ত্র – সিলোমিটার।
⚫সমচাপ রেখা: বায়ুর সমান চাপ বিশিষ্ট স্থানগুলিকে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যোগ করা হয়।
⚫সমোচ্চরেখা: পৃথিবীর সমান উচ্চতা যুক্ত স্থান যোগকারী কাল্পনিক রেখা।
⚫সমবর্ষণ রেখা: মানচিত্রে সমান বৃষ্টিপাত সংযোগকারী রেখা।
⚫সমরৌদ্রলোক রেখা: মানচিত্রে রৌদ্রলোক রেখা দ্বারা গড়ে বার্ষিক রৌদ্রকিরণ যুক্ত স্থানগুলিকে যোগ করা হয়।
⚫সমমেঘ রেখা: মানচিত্রে সমান মেঘের যুক্ত স্থান সংযোগকারী রেখা।
No comments:
Post a Comment